কবর থেকে উঠানো হলো সাদ্দাম হোসেনের লাশ। এতবছর পর একটুও বিকৃত হইনি।
সুবহানআল্লাহ
জালিমের ফাঁসিকাষ্ঠে নিহত ইরাকের প্রেসিডেন্ট লৌহমানব সাদ্দাম হোসেনের কবর পরিবর্তন করতে গিয়ে কবর থেকে উঠানোর পর দেখা গেল সাদ্দাম হোসাইনের দেহ সেই তাজাই রয়ে গেছে।
শরীরের কোন অংশে কোন রকম পচন ধরে নাই। সুবহানআল্লাহ।
শহীদদের দেহ কোন পোকা-মাকড় খেতে পারেনা।
এবং পচনও ধরে না।
সাদ্দাম হোসেনের কবর উড়িয়ে দিল ইরাকি বাহিনী; লাশ গায়েব।
ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের কবরে ইরাকি সেনাবাহিনী বোমা হামলা চালিয়ে তা গুড়িয়ে দিয়েছে। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না লাশও।
ফ্রান্স ভিত্তিক একটি সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী ইরাকের তুকরিত শহরের আল ওয়াজা এলাকায় অবস্থিত সাদ্দাম হোসেনের কবরের ওপর বোমা হামলা হওয়ায় তা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েগেছে।
সাদ্দাম হোসেনের গোত্র আবু নসরের প্রধান শায়খ মানাফ আলী আন্ নাদা জানিয়েছেন, সাদ্দাম হোসেনের কবরের ছাদের ওপর কথিত সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায় ইরাকের বিমান বাহিনী।
এতে কবরস্থানটি ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়েছে। এমনকি সেখানে সাদ্দাম হোসেনের লাশ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, ২৮ এপ্রিল সাদ্দামের জন্মদিন উপলক্ষ্যে আবু নসর গোত্রের লোকেরা সাদ্দামের কবর জিয়ারতের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এদিন হাজার হাজার মানুষ তার কবর জিয়ারত করে থাকেন।
কিন্তু সে দিন আসার আগেই ইরাকি বাহিনী সাদ্দামের কবর উড়িয়ে দিল।
অপরদিকে তুকরিতের একজন সরকারি কর্মকর্তা হামলার কথা স্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেছেন, সাদ্দাম হোসেনের লাশ তার কবরেই বিদ্যামান ছিল। তবে আমাদের ধারণা তার মেয়ে লাশ নিয়ে লন্ডনে চলে গিয়েছেন।
কিন্তু স্থানীয় এক প্রতক্ষদর্শী ওই কর্মকর্তার কথা অস্বীকার করে বলেছেন, সাদ্দামের মেয়ে তো ইরাকেই আসেন নি। তিনি কী করে লাশ নিয়ে যাবেন? আমরা দেখেছি সাদ্দামের কবর খুড়া হয়েছে। কে বা কারা তার লাশ নিয়ে গেছে তা আমরা দেখতে পারিনি। এসবের পেছনে কাদের হাত আছে তা সরকারি বাহিনীই ভালো বলতে পারবে।
উল্লেখ্য, ইরাকে রাসয়ানিক অস্ত্র তৈরি ও মজুদের কথিত অভিযোগ তুলে ২০০৬ সালে ৩০ ডিসেম্বর মার্কিন সেনাবাহিনী সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে। তিনি ইরাকে একাধারে সাড়ে ২৩ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন।
ইরাকি নেতা সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসির সময়ে কেঁদেছিলেন যে আমেরিকান সৈন্যরা।
২০০৪ সালের জুন মাসে সাদ্দাম হোসেনকে ইরাকি অন্তবর্তী সরকারের কাছে তুলে দেয়া হয় বিচারের জন্য। এর আগের বছর ডিসেম্বর মাসে মার্কিন বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে।
জীবনের শেষ দিনগুলোতে তাকে পাহারা দিয়েছিলেন ১২ জন মার্কিন সৈন্য। হিন্দি’র জন্য সেই সময়ের দিকে ফিরে তাকিয়েছেন রেহান ফজল:
গ্রেফতার হওয়ার আগে তাঁরা যে সাদ্দাম হোসেনের ‘বন্ধু’ ছিলেন, সেটা মোটেই নয়।
কিন্তু ওই ১২ জন আমেরিকান সৈন্য সাদ্দামের শেষ সময়ের বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। আক্ষরিক অর্থেই শেষ মুহূর্ত অবধি তাঁরাই ছিলেন সাদ্দামের সঙ্গে।
মার্কিন ৫৫১ নম্বর মিলিটারি পুলিশ কোম্পানির ওই ১২ জন সেনাসদস্যকে ‘সুপার টুয়েলভ’ বলে ডাকা হতো।
তাঁদেরই একজন, উইল বার্ডেনওয়ার্পা র একটি বই লিখেছেন, ‘দা প্রিজনার ইন হিজ প্যালেস, হিজ অ্যামেরিকান গার্ডস, অ্যান্ড হোয়াট হিস্ট্রি লেফট আনসেইড’ নামে। বাংলা করলে বইটির নাম হতে পারে ‘নিজের প্রাসাদেই এক বন্দী, তাঁর আমেরিকান প্রহরী – ইতিহাস যে কথা বলেনি’।
বইটি জুড়ে রয়েছে সাদ্দাম হোসেনকে তাঁর শেষ সময় পর্যন্ত সুরক্ষা দেওয়ার অভিজ্ঞতা।
মি. বার্ডেনওয়ার্পা র স্বীকার করেছেন যে তাঁরা যখন সাদ্দাম হোসেনকে জল্লাদদের হাতে তুলে দিলেন ফাঁসির জন্য, তখন তাঁদের ১২ জনেরই চোখে পানি এসে গিয়েছিল।
দাদুর মতো দেখতে লাগত সাদ্দামকে
বার্ডেনওয়ার্পা র তাঁরই এক সেনা-সঙ্গী রজারসনকে উদ্ধৃত করে লিখেছেন, “আমরা কখনও সাদ্দামকে মানসিক বিকারগ্রস্ত হত্যাকারী হিসাবে দেখিনি। তাঁর দিকে তাকালে নিজের দাদুর মতো লাগত অনেক সময়ে।”
ইরাকের জেলে জীবনের শেষ সময়টুকু কাটানোর সময়ে সাদ্দাম হোসেন আমেরিকান গায়িকা মেরি জে ব্লাইজার গান শুনতেন নিয়মিত।
নিজের এক্সারসাইজ বাইকে চড়তে পছন্দ করতেন সাদ্দাম। ওটার নাম দিয়েছিলেন ‘পনি’।
মিষ্টি খেতে খুব ভালবাসতেন। মাঝেমধ্যেই মাফিন খেতে চাইতেন।
বার্ডেনওয়ার্পা র লিখেছেন, নিজের জীবনের শেষ দিনগুলোতে সাদ্দাম তাঁদের সঙ্গে খুব ভাল ব্যবহার করতেন। ওই ব্যবহার দেখে বোঝাই যেত না যে সাদ্দাম হোসেন কোনও এক সময়ে একজন অত্যন্ত নিষ্ঠুর শাসক ছিলেন।
কাস্ত্রো তাঁকে সিগার খেতে শিখিয়েছিলেন
সাদ্দামের ‘কোহিবা’ সিগার খাওয়ার খুব নেশা ছিল। মনে করা হয় কিউবার সিগারের মধ্যে এই ‘কোহিবা’ সবার চেয়ে সেরা সিগারগুলোর অন্যতম।
ভেজা ওয়াইপে জড়িয়ে একটা বাক্সের মধ্যে রাখা থাকত সিগারগুলো।
সাদ্দাম নিজেই বলেছিলেন যে বহু বছর আগে ফিদেল কাস্ত্রো তাকে সিগার খাওয়া শিখিয়েছিলেন।
সিগার ছাড়াও বাগান করা আরেকটা শখ ছিল সাদ্দাম হোসেনের।
তাঁকে জানানো হয়েছিল যে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফাঁসি দেওয়া হবে। এই কথাটা শোনার পরে সাদ্দামের ভেতরের সব বিশ্বাস ভেঙ্গে পড়েছিল। তিনি চুপচাপ গোসল করে ফাঁসির জন্য তৈরি হয়ে নিয়েছিলেন।
সেই সময়েও তাঁর একটা ভাবনা ছিল। জানতে চেয়েছিলেন, ‘সুপার টুয়েলভের সদস্যরাও কি ঘুমোচ্ছে?’
ফাঁসির কয়েক মিনিট আগে স্টিভ হাচিনসনকে কারাকক্ষের বাইরে ডেকে পাঠান সাদ্দাম হোসেন। লোহার শিকগুলোর মধ্যে দিয়ে হাতটা বের করে নিজের রেমন্ড ওয়েইল হাতঘড়িটা দিয়ে দেন স্টিভকে।
হাচিনসন আপত্তি করেছিলেন। তবে সাদ্দাম কিছুটা জোর করেই ঘড়িটা স্টিভের হাতে পরিয়ে দেন।
জর্জিয়ায় হাচিনসনের বাড়ির একটা সিন্দুকে রাখা ঘড়িটা এখনও টিক টিক করে চলেছে।
সুবহানআল্লাহ
জালিমের ফাঁসিকাষ্ঠে নিহত ইরাকের প্রেসিডেন্ট লৌহমানব সাদ্দাম হোসেনের কবর পরিবর্তন করতে গিয়ে কবর থেকে উঠানোর পর দেখা গেল সাদ্দাম হোসাইনের দেহ সেই তাজাই রয়ে গেছে।
শরীরের কোন অংশে কোন রকম পচন ধরে নাই। সুবহানআল্লাহ।
শহীদদের দেহ কোন পোকা-মাকড় খেতে পারেনা।
এবং পচনও ধরে না।
সাদ্দাম হোসেনের কবর উড়িয়ে দিল ইরাকি বাহিনী; লাশ গায়েব।
ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের কবরে ইরাকি সেনাবাহিনী বোমা হামলা চালিয়ে তা গুড়িয়ে দিয়েছে। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না লাশও।
ফ্রান্স ভিত্তিক একটি সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী ইরাকের তুকরিত শহরের আল ওয়াজা এলাকায় অবস্থিত সাদ্দাম হোসেনের কবরের ওপর বোমা হামলা হওয়ায় তা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েগেছে।
সাদ্দাম হোসেনের গোত্র আবু নসরের প্রধান শায়খ মানাফ আলী আন্ নাদা জানিয়েছেন, সাদ্দাম হোসেনের কবরের ছাদের ওপর কথিত সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায় ইরাকের বিমান বাহিনী।
এতে কবরস্থানটি ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়েছে। এমনকি সেখানে সাদ্দাম হোসেনের লাশ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, ২৮ এপ্রিল সাদ্দামের জন্মদিন উপলক্ষ্যে আবু নসর গোত্রের লোকেরা সাদ্দামের কবর জিয়ারতের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এদিন হাজার হাজার মানুষ তার কবর জিয়ারত করে থাকেন।
কিন্তু সে দিন আসার আগেই ইরাকি বাহিনী সাদ্দামের কবর উড়িয়ে দিল।
অপরদিকে তুকরিতের একজন সরকারি কর্মকর্তা হামলার কথা স্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেছেন, সাদ্দাম হোসেনের লাশ তার কবরেই বিদ্যামান ছিল। তবে আমাদের ধারণা তার মেয়ে লাশ নিয়ে লন্ডনে চলে গিয়েছেন।
কিন্তু স্থানীয় এক প্রতক্ষদর্শী ওই কর্মকর্তার কথা অস্বীকার করে বলেছেন, সাদ্দামের মেয়ে তো ইরাকেই আসেন নি। তিনি কী করে লাশ নিয়ে যাবেন? আমরা দেখেছি সাদ্দামের কবর খুড়া হয়েছে। কে বা কারা তার লাশ নিয়ে গেছে তা আমরা দেখতে পারিনি। এসবের পেছনে কাদের হাত আছে তা সরকারি বাহিনীই ভালো বলতে পারবে।
উল্লেখ্য, ইরাকে রাসয়ানিক অস্ত্র তৈরি ও মজুদের কথিত অভিযোগ তুলে ২০০৬ সালে ৩০ ডিসেম্বর মার্কিন সেনাবাহিনী সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে। তিনি ইরাকে একাধারে সাড়ে ২৩ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন।
ইরাকি নেতা সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসির সময়ে কেঁদেছিলেন যে আমেরিকান সৈন্যরা।
২০০৪ সালের জুন মাসে সাদ্দাম হোসেনকে ইরাকি অন্তবর্তী সরকারের কাছে তুলে দেয়া হয় বিচারের জন্য। এর আগের বছর ডিসেম্বর মাসে মার্কিন বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে।
জীবনের শেষ দিনগুলোতে তাকে পাহারা দিয়েছিলেন ১২ জন মার্কিন সৈন্য। হিন্দি’র জন্য সেই সময়ের দিকে ফিরে তাকিয়েছেন রেহান ফজল:
গ্রেফতার হওয়ার আগে তাঁরা যে সাদ্দাম হোসেনের ‘বন্ধু’ ছিলেন, সেটা মোটেই নয়।
কিন্তু ওই ১২ জন আমেরিকান সৈন্য সাদ্দামের শেষ সময়ের বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। আক্ষরিক অর্থেই শেষ মুহূর্ত অবধি তাঁরাই ছিলেন সাদ্দামের সঙ্গে।
মার্কিন ৫৫১ নম্বর মিলিটারি পুলিশ কোম্পানির ওই ১২ জন সেনাসদস্যকে ‘সুপার টুয়েলভ’ বলে ডাকা হতো।
তাঁদেরই একজন, উইল বার্ডেনওয়ার্পা
বইটি জুড়ে রয়েছে সাদ্দাম হোসেনকে তাঁর শেষ সময় পর্যন্ত সুরক্ষা দেওয়ার অভিজ্ঞতা।
মি. বার্ডেনওয়ার্পা
দাদুর মতো দেখতে লাগত সাদ্দামকে
বার্ডেনওয়ার্পা
ইরাকের জেলে জীবনের শেষ সময়টুকু কাটানোর সময়ে সাদ্দাম হোসেন আমেরিকান গায়িকা মেরি জে ব্লাইজার গান শুনতেন নিয়মিত।
নিজের এক্সারসাইজ বাইকে চড়তে পছন্দ করতেন সাদ্দাম। ওটার নাম দিয়েছিলেন ‘পনি’।
মিষ্টি খেতে খুব ভালবাসতেন। মাঝেমধ্যেই মাফিন খেতে চাইতেন।
বার্ডেনওয়ার্পা
কাস্ত্রো তাঁকে সিগার খেতে শিখিয়েছিলেন
সাদ্দামের ‘কোহিবা’ সিগার খাওয়ার খুব নেশা ছিল। মনে করা হয় কিউবার সিগারের মধ্যে এই ‘কোহিবা’ সবার চেয়ে সেরা সিগারগুলোর অন্যতম।
ভেজা ওয়াইপে জড়িয়ে একটা বাক্সের মধ্যে রাখা থাকত সিগারগুলো।
সাদ্দাম নিজেই বলেছিলেন যে বহু বছর আগে ফিদেল কাস্ত্রো তাকে সিগার খাওয়া শিখিয়েছিলেন।
সিগার ছাড়াও বাগান করা আরেকটা শখ ছিল সাদ্দাম হোসেনের।
তাঁকে জানানো হয়েছিল যে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফাঁসি দেওয়া হবে। এই কথাটা শোনার পরে সাদ্দামের ভেতরের সব বিশ্বাস ভেঙ্গে পড়েছিল। তিনি চুপচাপ গোসল করে ফাঁসির জন্য তৈরি হয়ে নিয়েছিলেন।
সেই সময়েও তাঁর একটা ভাবনা ছিল। জানতে চেয়েছিলেন, ‘সুপার টুয়েলভের সদস্যরাও কি ঘুমোচ্ছে?’
ফাঁসির কয়েক মিনিট আগে স্টিভ হাচিনসনকে কারাকক্ষের বাইরে ডেকে পাঠান সাদ্দাম হোসেন। লোহার শিকগুলোর মধ্যে দিয়ে হাতটা বের করে নিজের রেমন্ড ওয়েইল হাতঘড়িটা দিয়ে দেন স্টিভকে।
হাচিনসন আপত্তি করেছিলেন। তবে সাদ্দাম কিছুটা জোর করেই ঘড়িটা স্টিভের হাতে পরিয়ে দেন।
জর্জিয়ায় হাচিনসনের বাড়ির একটা সিন্দুকে রাখা ঘড়িটা এখনও টিক টিক করে চলেছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন