ওর বেতন ধরা হয়েছে
বাংলাদেশী মুদ্রায় ৬৬ লক্ষ টাকা।
ছেলেটার নাম তন্ময় বক্সী। বয়স মাত্র ১৩। কানাডা
প্রবাসী ইন্ডিয়ান নাগরিক। সম্প্রতি তন্ময় গুগলে
চাকরী পেয়েছে
এবং
তন্ময়ের
আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্ট নিয়ে কাজ করছে। সে
৫ বছর বয়সেই কোডিং শেখে। সত্যিকারের
মেধাবী বলতে যা বোঝায়, ছেলেটি সেটাই।
কথা হলো, আমি তন্ময়ের কথা বলছি কেন!! কারন
আছে।
ফেসবকেুর কয়েকটি পেইজে
তন্ময়কে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত প্রবাসী
হিসেবে দেখানো হয়।
যাকে বলে বাংলাদেশী
হিসেবে আমাদের ক্রেডিট নেবার একটি
প্রচেষ্টা। আচ্ছা ধরে নিলাম, তন্ময় এদেশের
সন্তান।
তাহলে কি আপনার মনে হয় তন্ময় যদি সত্যিই
এই দেশের হতো তাহলে আজ সে গুগলে
চাকরী করার যোগ্যতা অর্জন করতো?
আমার
উত্তর হলো না।
এবং কখনোই না। আমাদের
দেশে তন্ময় জন্ম নিলে তন্ময়ের প্রতিভা
অংকুরেই আমরা বিনষ্ট করতাম।
আমরা তার পিঠে
পড়াশুনার জন্যে বইয়ের পাহাড় দিয়ে দিতাম। তাকে
পড়তে হতো শুধুমাত্র A+ পাবার জন্যে। বইয়ের
বাইরে তার কোন জগৎ থাকতো না।
১৩ বছর
বয়সে তার ফেসবুকে একাউন্ট থাকতো। তাকে
গোল্ডেন A+ এর জন্যে সকাল-বিকেল
প্রাইভেটে ঘুরতে হতো।
সকল পরীক্ষার পর
তাকে বিসিএস ক্যাডারের/ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার হবার
জন্যে আবার দৌড়াতে হতো। অর্থাৎ তার মেধার
সম্পূর্ণটাই শেষ পর্যন্ত বিসিএস ক্যাডার/ডাক্তার/
ইঞ্জিনিয়ার হবার দৌড়ে থাকতো। তার গুগলে চাকরী
করা।
একেবারে আকাশ কুসুম কল্পনা ছাড়া কিছুই নয়।
আচ্ছা আমরা এত নির্লজ্জ কেন?
একে তো অন্য
দেশের মেধাবীকে নিজ দেশের নামে
চালিয়ে দিচ্ছি।
আবার নিজের দেশের
মেধাবীদের মেধাকে গলা টিপে মেরে
ফেলছি।
আমাদের দৈন্যদশা দেখে নিজেরই এখন
খারাপ লাগে! বহির্বিশ্বে আমাদের গর্ব করার মত
কোন মেধাবী মুখ নেই এদেশে।
বলতে পারি
না আমরা, এই সন্তানটি আমার দেশের সন্তান।
আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছে।
এখনো সময়
আছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে
সাজানোর।
পরিবর্তনের এখনই সময়। না হলে
তন্ময়ের মতই ভিন্ন দেশের সন্তানকে নিজের
দেশের সন্তান দেখিয়ে আত্মতৃপ্তি পেতে
হবে।
তা না হলে মাস্টার্স পাস করে কিভাবে একজন
ছেলেকে বেকার থাকতে হয়?
বলতে গেলে
আমরা লজ্জাহীন এক জাতি। যেটি শুধু গালে অনেক
কিছু করে ফেলতে পারি তবে কাজে নয়।
কি লাভ
লেখাপড়া করে যে দেশে লেখা পড়ার
কোনো মূল্য নাই।
খুব কষ্ট হয় যখন দেখি লাখ লাখ টাকা খরচ
করে উচ্চা শিক্ষা নিয়ে মানুষ বাজারে বাজারে
ঘুরতেছে তখন
আসলে কিছু আর বলার থাকেনা।
আমার আর কিছু বলার নেই
বাংলাদেশী মুদ্রায় ৬৬ লক্ষ টাকা।
ছেলেটার নাম তন্ময় বক্সী। বয়স মাত্র ১৩। কানাডা
প্রবাসী ইন্ডিয়ান নাগরিক। সম্প্রতি তন্ময় গুগলে
চাকরী পেয়েছে
এবং
তন্ময়ের
আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্ট নিয়ে কাজ করছে। সে
৫ বছর বয়সেই কোডিং শেখে। সত্যিকারের
মেধাবী বলতে যা বোঝায়, ছেলেটি সেটাই।
কথা হলো, আমি তন্ময়ের কথা বলছি কেন!! কারন
আছে।
ফেসবকেুর কয়েকটি পেইজে
তন্ময়কে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত প্রবাসী
হিসেবে দেখানো হয়।
যাকে বলে বাংলাদেশী
হিসেবে আমাদের ক্রেডিট নেবার একটি
প্রচেষ্টা। আচ্ছা ধরে নিলাম, তন্ময় এদেশের
সন্তান।
তাহলে কি আপনার মনে হয় তন্ময় যদি সত্যিই
এই দেশের হতো তাহলে আজ সে গুগলে
চাকরী করার যোগ্যতা অর্জন করতো?
আমার
উত্তর হলো না।
এবং কখনোই না। আমাদের
দেশে তন্ময় জন্ম নিলে তন্ময়ের প্রতিভা
অংকুরেই আমরা বিনষ্ট করতাম।
আমরা তার পিঠে
পড়াশুনার জন্যে বইয়ের পাহাড় দিয়ে দিতাম। তাকে
পড়তে হতো শুধুমাত্র A+ পাবার জন্যে। বইয়ের
বাইরে তার কোন জগৎ থাকতো না।
১৩ বছর
বয়সে তার ফেসবুকে একাউন্ট থাকতো। তাকে
গোল্ডেন A+ এর জন্যে সকাল-বিকেল
প্রাইভেটে ঘুরতে হতো।
সকল পরীক্ষার পর
তাকে বিসিএস ক্যাডারের/ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার হবার
জন্যে আবার দৌড়াতে হতো। অর্থাৎ তার মেধার
সম্পূর্ণটাই শেষ পর্যন্ত বিসিএস ক্যাডার/ডাক্তার/
ইঞ্জিনিয়ার হবার দৌড়ে থাকতো। তার গুগলে চাকরী
করা।
একেবারে আকাশ কুসুম কল্পনা ছাড়া কিছুই নয়।
আচ্ছা আমরা এত নির্লজ্জ কেন?
একে তো অন্য
দেশের মেধাবীকে নিজ দেশের নামে
চালিয়ে দিচ্ছি।
আবার নিজের দেশের
মেধাবীদের মেধাকে গলা টিপে মেরে
ফেলছি।
আমাদের দৈন্যদশা দেখে নিজেরই এখন
খারাপ লাগে! বহির্বিশ্বে আমাদের গর্ব করার মত
কোন মেধাবী মুখ নেই এদেশে।
বলতে পারি
না আমরা, এই সন্তানটি আমার দেশের সন্তান।
আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছে।
এখনো সময়
আছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে
সাজানোর।
পরিবর্তনের এখনই সময়। না হলে
তন্ময়ের মতই ভিন্ন দেশের সন্তানকে নিজের
দেশের সন্তান দেখিয়ে আত্মতৃপ্তি পেতে
হবে।
তা না হলে মাস্টার্স পাস করে কিভাবে একজন
ছেলেকে বেকার থাকতে হয়?
বলতে গেলে
আমরা লজ্জাহীন এক জাতি। যেটি শুধু গালে অনেক
কিছু করে ফেলতে পারি তবে কাজে নয়।
কি লাভ
লেখাপড়া করে যে দেশে লেখা পড়ার
কোনো মূল্য নাই।
খুব কষ্ট হয় যখন দেখি লাখ লাখ টাকা খরচ
করে উচ্চা শিক্ষা নিয়ে মানুষ বাজারে বাজারে
ঘুরতেছে তখন
আসলে কিছু আর বলার থাকেনা।
আমার আর কিছু বলার নেই
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন